চট্টগ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ৩০টি গ্রামে আজ (১২ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদ উল আজহা পালিত হচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখিল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশে শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ অনুসারীরা প্রতি বছরের ন্যায় এবার একদিন আগে ঈদ উৎযাপন করেছেন।
নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারী এসব গ্রামের বাসিন্দারা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে প্রাণী জবাই করে পালন করেছেন ঈদুল আজহা।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারাল, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখের খীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্ধীপ, রাউজান, ফটিকছড়ির কিছু এলাকাসহ চট্টগ্রামের মোট ৩০টি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ ঈদ উল আজহা পালন করছেন।
এছাড়াও চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক পবিত্র ঈদের নামায আদায় করেছেন বলে জানা যায়। সন্দীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের আরশাদ আলী জামে মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্টিত হয়েছে। এতে সদ্বীপের প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
প্রচলন আছে প্রায় দুশ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহঃ) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানী পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ন পালন করে আসছেন।
পাঠকের মতামত: